আমি যীশু কে খুঁজতে গিয়ে মুহাম্মাদ (সাঃ) কে খুঁজে পেয়েছি ব্রিটিশ সাংবাদিক লরেন
লন্ডনের প্রখ্যাত লেখক ও সাংবাদিক ধর্মান্তরিত মুসলিম লরেন বুথ। তিনি ২০১০ সালে ইসলাম গ্রহণ করেন। তার আত্মজীবনী ভিত্তিক বই ‘ফাইন্ডিং পিস ইন দ্য হলি ল্যান্ড’ এ তিনি তার জীবনের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেছেন। বিভিন্ন প্রশ্ন উত্থাপন এবং তার উত্তর ও দিয়েছেন।এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি যিশুর উপর থেকে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলিনি বরং ফিলিস্তিন সফরের সময় তা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে” । তিনি আরো বলেন, “আমি সেখানে যীশুকে খুঁজতে গিয়েছি কিন্তু মানুষের আচরণের মধ্যে আমি মোহাম্মদ সঃ কে খুজে পেয়েছি।আমি সেখানে এমন এক সত্তা খুঁজে পেয়েছি যা এর আগে সে সম্পর্কে আমি কিছুই জানতাম না। আমি মধ্যপ্রাচ্য সম্পর্কে জানতাম না। কারা আরব ভূমিগুলো দখল করে আছে সে সম্পর্কেও কিছু জানতাম না। আমি আরবদের সম্পর্কে ভীত ছিলাম।ফিলিস্তিনিদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে লেখালেখি করতে চাওয়ার কথা জানান লরেন বুথ , যার মাধ্যমে তাদের বার্তা সারা বিশ্বের কাছে পৌঁছায়। তিনি আরো বলেন, গাজা উপত্যকায় মানুষের চরম সমস্যার জীবনযাপন সম্পূর্ণভাবে ইসরাইল কর্তৃক কৃত্রিমভাবে তৈরি।যা স্পষ্টতই যু’দ্ধাপরাধ। ২০১৮ সালের রমজান মাসে গাজা সফরের সময় তিনি সেখানে এক অনাবিল শান্তি অনুভব করেন বলে জানান । সে সম্পর্কে তিনি বলেন, যদি” এটি বিশ্বাস হয় তবে আমি তাতে প্রবেশ করতে চাই”।১৯৯৭ সালে থেকে সাংবাদিকতা করে আসা লরেন বুথ। সংবাদ সংস্থা সিএনএন, আলজাজিরা, ডেইলিমেইল সহ বিভিন্ন জনপ্রিয় গণমাধ্যমে লেখালেখি করেনযুগে যুগে অনেক তারকার সঙ্গেই চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির নেতাদের দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ার ঘটনা সবাই জানে। শাবনূর, পপি, শাকিব খান, অপু বিশ্বাস থেকে শুরু করে সম্প্রতি জায়েদ খানের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে চলচ্চিত্রের এই প্রধান সংগঠনের নেতারা। এসব দ্বন্দ্ব নিয়েই আজকের প্রতিবেদন।লিখেছেন- ফয়সাল আহমেদএকতার বদলে বিশৃঙ্খল অবস্থায় পড়েছে চলচ্চিত্রাঙ্গন। এখান থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে পাচ্ছে না কেউ। সম্প্রতি নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির ২০১৯-২১ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটি বাতিল করে একজন উপসচিবকে প্রশাসকের দায়িত্বে বসিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। ২০১৯-২১ মেয়াদের নির্বাচনের অনিয়মের অভিযোগ করেছিলেন চিত্রনায়ক ও প্রযোজক জায়েদ খান। তার অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে সে অভিযোগের সত্যতা মেলার কথা জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর আগে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির সদস্যপদ সাময়িকভাবে বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় সমিতি।প্রযোজক সমিতি বা প্রযোজকের সঙ্গে তারকাদের এমন বিরোধ নতুন কিছু নয়। ২০১০ সালে যাতায়াত-ভাতার টাকা নিয়ে নায়িকা অপু বিশ্বাসের সঙ্গে প্রযোজক পরিবেশক সমিতির ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি মো. হোসেনের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। হোসেনের আবেদনে সাড়া দিয়ে প্রযোজক পরিবেশক সমিতি অপু বিশ্বাসকে নিয়ে নতুন কোনো ছবির অনুমোদন না দেওয়ার ঘোষণা দেয়। সেই বছরের ২৬ জানুয়ারি ঘটেছিল এ ঘটনা। পরবর্তী সময়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন শাকিব খান।২৭ জানুয়ারি রাতে প্রযোজক পরিবেশক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান জানান, অপুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কারণে শাকিব পরদিন মো. হোসেনের ছবির শুটিং করেননি, তাই শাকিবকে নিয়ে এখন থেকে আর কোনো প্রযোজক, পরিচালক শুটিং-ডাবিং করতে পারবেন না।তবে অভিযোগ অস্বীকার করে শাকিব বলেছিলেন, ‘আমি অসুস্থ অবস্থায় রাত জেগে কাজ করেছি। পরদিন জ্বর ছিল, তাই শুটিং করতে পারিনি। অথচ এর আগে মো. হোসেন আমাকে সারাদিন সাভারে নিয়ে বসিয়ে রাখলেন, শুটিং করলেন না, তার কোনো বিচার নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রযোজক পরিবেশক সমিতি যদি আমাকে নিষিদ্ধ করে, তবে আমার কিছুই বলার নেই।’অন্যদিকে অপু বলেন, ‘বিনা কারণে আমার ওপর দোষ চাপানো হয়েছে। আমার গাড়িচালক যাতায়াত-ভাতা নিয়ে কী বলেছে, তা আমি জানি না।’ এমন সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছেন শাকিবের ছবির নির্মাতারা। প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে চাষী নজরুল ইসলাম শাকিবকে নিয়ে দেবদাস ছবির শুটিং করেন। বেশ কয়েকজন প্রযোজক তখন বলেছিলেন, ‘সমিতির নেতাদের আমরা মানব, কিন্তু যে ক্ষতিটা আমার হবে, তার দায় কে নেবে?’ কেউ কেউ বলেছেন, ‘টাকা বিনিয়োগ করেছি, শুটিং করব।’চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির নেতারা ৫০ জন প্রযোজককে নিয়ে বৈঠক আহ্বান করেন। সমিতির সহসভাপতি মো. হোসেন তখন বলেছিলেন, ‘কারও কাছে মাথা নত করে কিছু করব না। সাধারণ প্রযোজকদের মতামত নিয়ে দু-একদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেব।’ তখন কোনো এক রাতে প্রভাবশালী প্রযোজকরা শাকিবকে নিয়ে সমিতির নেতাদের সঙ্গে সমঝোতা বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত বৈঠকটি আর হয়নি।অন্যদিকে সর্বশেষ তথ্যে জানা গেছে, এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মমতাজ আলা শাকুরের মধ্যস্থতায় শিল্পী সমিতি, পরিচালক সমিতি ও প্রযোজক সমিতির নেতাদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে। শিল্পী সমিতির তখনকার সভাপতি মিজু আহমেদ বলেছিলেন, এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান দেওয়ার আশ্বাস দেন। শেষ পর্যন্ত সেই সমস্যার সমাধান হয়েছিল। সবাই শুটিং করে এবং চলচ্চিত্রে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসে।২০১৭ সালে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী সাদিকা পারভীন পপির বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে প্রতারণার মামলা হয়। নতুন একটি ছবির পারিশ্রমিক নিয়ে পপি কাজ করেননি- এমন অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী পরিচালক ও প্রযোজক জসীম উদ্দিন মামলাটি করেন। ৪০৬/৪২০ ধারায় মামলাটি হয় ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর। অভিযোগে জানানো হয়, পপি ২০১৬ সালে দ্য আমেরিকান ড্রিম নামের একটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হন। কিন্তু পরে কাজ করেননি।অভিযোগে বলা হয়েছে, চিত্রনায়িকা পপি দ্য আমেরিকান ড্রিম ছবিতে অভিনয়ের জন্য ২০১৫ সালের ১ অক্টোবর চুক্তিবদ্ধ হয়ে দুই লাখ টাকা অগ্রিম সম্মানী গ্রহণ করেন। কিন্তু ছবিটির শুটিংয়ের শিডিউল চেয়ে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি সাড়া দেননি এবং যোগাযোগও করেননি। সম্মানীর অর্থ ফেরত চেয়ে পপিকে উকিল নোটিশ পাঠানো হলে টাকা ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরিচালক জসীম উদ্দিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করায় তার পক্ষে মামলাটির আমমোক্তার ‘সিন সিনারি প্রডাকশন’-এর জেনারেল ম্যানেজার হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া। মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী হিসেবে আছেন গোলাম সাবের চৌধুরী।কথা প্রসঙ্গে পপি বলেছিলেন, ‘আমি অলরেডি ২০০ সিনেমায় অভিনয় করেছি। কখনো এমন অভিযোগ কেউ করেনি। এটা আমাকে অবাক করেছে! কী ঘটনা আপনারা তা বোঝেনই তো।’ কথা প্রসঙ্গে প্রযোজকের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেন পপি। বললেন, ‘শুটিংয়ের শুরুতে নায়ক নেওয়ার কথা ছিল একজন, পরে শুনলাম প্রযোজকই নায়ক হতে চান! যে সময় শুটিং শুরু করার কথা, সে সময়টাও মানা হয়নি। আমাদেরও তো ব্যস্ততা থাকে। অন্য সময় চাইলে তো শিডিউল দেওয়া সম্ভব নয়।’ সেই সমস্যা অনেক দূর গেলেও তারও সমাধান হয়। আবার শুটিংয়ে ফেরেন পপি। অনেক প্রযোজকই তখন পপিকে নিয়ে নতুন ছবি শুরু করেন